স্বাস্থ্যকর এবং অস্বাস্থ্যকর লজ্জার মধ্যে পার্থক্য

স্বাস্থ্যকর এবং অস্বাস্থ্যকর লজ্জার মধ্যে পার্থক্য

আমার প্রাণ রক্ষা করো, আমাকে উদ্ধার করো, আমাকে লজ্জিত হইতে দিও না, কেননা আমি তোমার স্মরণ লইয়াছি। – গীতসংহিতা ২৫:২০

প্রতিদিন আমরা দুই রকমের লজ্জার সম্মুখীন হই এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ যেন আমরা তার পার্থক্য জানি।

একরকম লজ্জা আছে যেটি স্বাভাবিক এবং সুস্থ। উদাহরণস্বরূপ, আমি যদি কিছু হারিয়ে অথবা ভেঙ্গে ফেলি যা অন্যের, আমি আমার ভুলের জন্য হতাশ হই। আমি চিন্তা করি আমার অসাবধান কিংবা অবহেলাকারী হওয়া উচিত হয়নি। আমি দুঃখিত, কিন্তু আমি ক্ষমা চাইতে পারি, সেটি পেয়ে আবার জীবনের পথে চলে যেতে পারি।  স্বাস্থ্যকর লজ্জা আমাদের স্মরণ করায় যে আমরা ত্রুটিযুক্ত মানুষ যার দুর্বলতা এবং সীমাবদ্ধতা আছে। এটি আমাদের স্মরণ করায় যে আমাদের ঈশ্বরকে প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত, স্বাস্থ্যকর লজ্জা যখন সেখানে থামে না, এটি অস্বাস্থ্যকর এবং বিষাক্ত হয়। একজন ব্যক্তি যখন ক্ষমা চায় না কিংবা গ্রহণ করে না, তারা নিজেদের শাস্তি দিতে পারে এবং তারা যা তার জন্য নিজেদের ঘৃণা করতে পারে। আপনার জীবন এই অবস্থায় অতিবাহিত করবেন না। একজন ন্যায্য উত্তরাধিকারী এবং ঈশ্বরের সন্তান হিসাবে আপনার অবস্থান স্মরণে রাখুন (দ্রষ্টব্য রোমীয় ৮:১৭)। আপনি খ্রীষ্টে কে সেই কথা অস্বাস্থ্যকর লজ্জা আপনাকে ভুলিয়ে রাখবে, কিন্তু স্বাস্থ্যকর লজ্জা আপনাকে স্মরণ করাবে যে আপনি তাঁকে ছাড়া কিছুই নন। আজ, ঈশ্বরকে বলুন আপনাকে সাহায্য করতে যেন আপনি এই পার্থক্যের উপলব্ধি করতে পারেন।

প্রাথমিক প্রার্থনা

সদাপ্রভু, আমি অস্বাস্থ্যকর লজ্জার বোঝার নীচে জীবনযাপন করতে চাই না। তুমি আমাকে কত ভালোবাসো তা স্মরণে রাখতে আমাকে সাহায্য করো। যেহেতু তুমি আমাকে ক্ষমা করেছ, নিজেকে আমাকে শাস্তি দিতে হবে না।

Facebook icon Twitter icon Instagram icon Pinterest icon Google+ icon YouTube icon LinkedIn icon Contact icon