আমি ধৈর্যসহ সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছিলাম, তিনি আমার প্রতি মনোযোগ করিয়া আমার আর্তনাদ শুনিলেন। তিনি বিনাশের গর্ত হইতে, পঙ্কময় ভূমি হইতে, আমাকে তুলিলেন। – গীতংহিতা ৪০:১-২
বেশির ভাগ মানুষ ঈশ্বরকে সাহায্য করার অনুমতি দেয় যখন কেবল তারা মনে করে এটি তাদের প্রাপ্য। আমার জীবনের এক সময় আমি এইরকম ছিলাম। বহু বছর ধরে আমি চিন্তা করতাম যে ঈশ্বরের আমায় সাহায্য করা উচিত কেননা আমি সেটি উপার্জন করেছি, যখন আমি চিন্তা করতাম তাঁর সাহায্য আমার প্রাপ্য কারণ আমি যথেষ্ট ভালো কাজ করেছি।
সেই রকম চিন্তাধারা কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদের মনোভাব প্রকাশ করে না। আমরা যদি মনে করি যা কিছু পাচ্ছি সেগুলি আমাদের প্রাপ্য, তাহলে সেটি আর উপহার থাকে না কিন্তু পুরষ্কার অথবা “সেবা করার জন্য পারিশ্রমিক।” পাওয়া যা আমাদের প্রাপ্য নয় এবং পাওয়া যা আমাদের প্রাপ্য এর তফাৎ হলো অনুগ্রহ এবং কাজের তফাৎ।
আমি আপনাকে উৎসাহিত করতে চাই যেন আপনি আপনার হৃদয় খুলে দেন এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহকে আপনার জীবনে আসতে দেন যেন এটি আপনার প্রতিদিনের পথ চলতে সাহায্য করে। সর্বদা স্মরণে রাখবেন যে আপনি যখন হতাশ বোধ করেন, তখন আপনি নিজের প্রচেষ্টায় জীবনযাপন করছেন এবং প্রয়োজন আছে যেন আপনি ঈশ্বরকে আপনার মাধ্যমে কাজ করতে দিয়ে তাঁর অনুগ্রহের প্রতি ফেরেন।
ঈশ্বরকে আপনার প্রতি অনুগ্রহ করার অনুমতি দিতে শিখুন। ঈশ্বরের সাহায্য প্রাপ্ত হওয়ার প্রচেষ্টা ছেড়ে দিন এবং আপানর সমস্ত প্রয়োজন তাঁকে দিতে দিন।
প্রাথমিক প্রার্থনাঈশ্বর,
আমি আমার নির্বুদ্ধিতা বুঝতে পারছি যে যখনই আমার প্রাপ্য উপলব্ধি করছি তখনই কেবল তোমার সাহায্য গ্রহণ করছি। আমি আমার সকল কাজ সরিয়ে রাখছি এবং তোমার অনুগ্রহ গ্রহণ করছি। প্রত্যেক পরিস্থিতিতে আমাকে সাহায্য করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ দিই, এমনকি যখন সেটি আমার প্রাপ্য নয়।