অতএব প্রিয় বৎসদের ন্যায় (পিতাকে অনুকরণ করে) তোমরা ঈশ্বরের অনুকারী হও (তাঁকে নকল করো এবং তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করো) । – ইফিষীয় ৫:১
খ্রীষ্টিয়ান হয়ে সপ্তাহে একবার গির্জাতে সাপ্তাহিক প্রমোদ ভ্রমণ নয়। আমাদের ঈশ্বরের চরিত্র প্রকাশ করতে হবে যেন অন্যেরা আসলে দেখতে পায় যীশুকে যিনি ব্যবহারিক উপায়ে কাজ করেন।
ইফিষীয় ৫:১ পদ বলে আমরা যেন ঈশ্বরের অনুকারী হই। দুর্ভাগ্যবশত, কার্যত করার চেয়ে বলা অনেক সহজ।
অনেক সময় আমরা যে কাজ করি তা কোন রকমেই ঈশ্বরকে প্রতিফলিত করে না। নিরুৎসাহিত হওয়া সহজ, আমরা যখন অকৃতকার্য হই তখন চেষ্টা ছেড়ে দিই এবং নিজেদের দোষারোপ করি।
সৌভাগ্যক্রমে, আমরা পৌঁছাইনি বলে ঈশ্বর চিন্তিত নন। তিনি জানেন আমরা কেবল মানুষ। তিনি জানেন আমরা পারব না, এক রাত্রে তাঁকে নিখুঁতভাবে প্রতিফলিত করতে পারব না, কিন্তু চান যেন আমরা বৃদ্ধি পেতে থাকি।
আমাদের জীবন নিশ্চল থাকার কথা নয়, বিশ্বাসে কখনো এগিয়ে যায় না। সেখানে দুঃসাহসিক কাজ কোথায়? আমাদের প্রয়োজন নিজেদের জীবনের প্রতি দৃষ্টিপাত করা এবং দেখা কোথায় পরিবর্তন হচ্ছে।
আমি একজন ফরীশী ছিলাম। আমি মনে করি আমি ফরীশীদের প্রধান হতে পারতাম। আমি ভালো ধার্মিক ছিলাম, কিন্তু আমি ঈশ্বরের “অনুকারী” হিসাবে সত্যিই কিছু করছিলাম না। একটি সময়ে, ঈশ্বর আমাকে পরিচালিত করেছিলেন নিজেকে প্রশ্ন করতেঃ ঈশ্বরের মতন হওয়ার জন্য আমি বেশি কী করছি? আমি কি কাউকে সত্যিই সাহায্য করছি? আমি কী কেবল এর মধ্যে আছি যেন ঈশ্বর আমার জীবন আরও ভালো করেন?
আমরা যখন প্রশ্নের স্থানে থাকি, সেটিই সর্বাধিক ভালো জায়গা। এই সেই স্থানে যেখানে খ্রীষ্টের মতন হওয়ার জন্য অবিরত কঠোর চেষ্টা করা হয়।
যেহেতু আপনি কঠোর চেষ্টা করছেন, নিখুঁত হওয়ার এবং আত্মনিন্দার ফাঁদে পড়বেন না। আমরা সকলেই ভুল করি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতিদিন ঈশ্বরের মতন হওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।
প্রাথমিক প্রার্থনা
ঈশ্বর, আমি তোমাকে ধন্যবাদ দিই কেননা যদিও তুমি আমার দোষ দেখ, তবুও তুমি আমাকে ভালোবাসো এবং সাহায্য করো যেন আমি এক ঈশ্বরীয় জীবন যাপন করতে পারি। আমি যখন আমার অকৃতকার্যতার জন্য নিরুৎসাহ হতে অস্বীকার করি, আমি একই রকম থাকতেও অস্বীকার করি। আমি প্রতিদিন তোমাকে অনুসরণ করতে ও আরও অনুকরণ করতে মনোনয়ন করছি।