
ধর্মশীলতা ও ন্যায়বিচার তোমার সিংহাসনের ভিত্তিমূল; দয়া ও সত্য তোমার শ্রীমুখের অগ্রগামী। – গীতসংহিতা ৮৯:১৪
ঈশ্বর হলেন ন্যায়পরায়ণ। এটি তাঁর চরিত্র – তিনি তাই – এবং তিনি চান আমরা যেন তা অনুধাবন করি।
ন্যায়বিচার ভুলকে অনুসন্ধান করে সেটি ঠিক করে। পৃথিবীতে আমাদের চারিদিকের অবিচার সঠিক করার জন্য ঈশ্বর আমাদের মাধ্যমে কাজ করেন কারণ আমরা তাঁর প্রতিনিধি। আমরা যখনই কোন ভুল দেখব, আমাদের প্রথম প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত যে আমরা সেই বিষয়ে প্রার্থনা করব। আমাদের দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত আমরা নিজেদের জিজ্ঞাসা করব, আমি এই বিষয় কী করতে পারি?
আমাদের চারিদিকে অন্যদের প্রয়োজনে বিহ্বল হওয়া খুব সহজ। সেই কারণে আমরা কিছু দেখলে মনে করি সেটি অন্যের সমস্যা এবং আমরা কামনা করি “তারা” সমাধান করবে! আমরা কামনা করি “তারা” এটি করবে সেটি করবে।
আপনি কি কখনও থেমে জিজ্ঞাসা করেছেন, “তারা কারা?” আমি মনে করি “তারা” হল আমরা – আপনি এবং আমি! আপনি হয়ত সব কিছু সমাধান করতে পারবেন না, কিন্তু আপনি কিছু করতে পারেন। আপনি অবিচারের দিকে তাকাবেন না এবং কিছু করবেন না। ঈশ্বর আপনাকে নিষ্কর্মা এবং নিষ্ক্রিয়তা থাকার জন্য সৃষ্টি করেননি। তিনি চান আপনি যেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন আপনি কী করবেন তা আপনাকে দেখাতে। তিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন যেন আপনার উদ্যম, গভীর অনুভূতি এবং আবেগ থাকে। তিনি আপনার মধ্যে দান দেন যেন সেগুলি আপনি তাঁর গৌরবের উদ্দেশে ব্যবহার করেন এবং অন্য মানুষদের সাহায্য করেন। সেই জন্য, আজ ন্যায়বিচারের জীবনযাপন করুন।
প্রাথমিক প্রার্থনা
পবিত্র আত্মা, আমাকে কেবল বসে থাকতে দিও না এই ভেবে যে “তারা” পৃথিবীর অবিচারের জন্য কিছু করবে যখন আমি কিছু করতে পারি। আমাকে সাহসিকতায় পূর্ণ কর এবং দেখিয়ে দাও আমার চারিদিকের পৃথিবীর ভুলগুলি কেমন করে সংশোধন করব।